প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
বার্সেলোনার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের
সেমিফাইনালের প্রথম লেগ আগামীকাল। বিশ্বসেরা ক্লাবের মুখোমুখি হওয়ার আগে চেলসির
প্রস্তুতিটা হলো দারুণ। টটেনহামকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এফএ কাপের ফাইনালে উঠল নীল
দল। আগামী ৫ মে ওয়েম্বলির ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ লিভারপুল। আগের দিনই যারা
এভারটনকে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে ফাইনালের টিকিট।
চেলসির দিনে বড় জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। অ্যালেক্স ফার্গুসনের দলের জয়টা লিগে। পরশু নিজেদের মাঠে ওয়েইন রুনির জোড়া গোলে অ্যাস্টন ভিলাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে গেল ম্যানইউ। আরও স্পষ্ট হলো ২০তম লিগ শিরোপার হাতছানি।
অবশ্য চেলসি-ম্যানইউ দুই দলের জয়েই লেগেছে বিতর্কের কালো দাগ! গোললাইন বিতর্কে চেলসির জয়টাই বেশি প্রশ্নবিদ্ধ। ৪৩ মিনিটে চেলসিকে প্রথমে এগিয়ে দেন দিদিয়ের দ্রগবা। ৪৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হুয়ান মাতা। এই স্প্যানিয়ার্ডের গোলটি নিয়েই বিতর্কের ঝড়। তাঁর শট টটেনহাম গোলরক্ষক কার্লো কুদিচিনি ফেরালেও রেফারি মার্টিন অ্যাটকিনসন গোল ঘোষণা করেন। স্পাররা তো বটেই; চেলসি শিবিরেও বিশ্বাস, বল গোললাইন পেরোয়নি।
জন টেরি গোলের জন্য টটেনহামের কাছে দুঃখ প্রকাশও করেছেন, ‘সত্যি বলতে আমার মনে হয় না, বলটা গোললাইন পেরিয়েছিল। কিন্তু লাইনসম্যান এটা দেখেছেন এবং গোল দিয়েছেন। এ নিয়ে আমাদের কিছু করার ছিল না।’ স্পারদের কোচ হ্যারি রেডন্যাপ গোললাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন। চেলসির বাকি তিনটি গোল করেছেন রামিরেস, ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড এবং বদলি হিসেবে নামা ফ্লোরেন্ত মালুদা। ৫৬ মিনিটে টটেনহামের একমাত্র গোলটি করেন গ্যারেথ বেল। ছয়বার এফএ কাপ জেতা চেলসি গত চার মৌসুমের মধ্যে এই নিয়ে উঠল তৃতীয় ফাইনালে। ২০০৭ সালের পর তাদের সামনে চতুর্থ শিরোপার হাতছানি।
ম্যানইউর প্রথম গোলটিতেই বিতর্কের কালো দাগ! ৭ মিনিটে অ্যাশলি ইয়ংকে ফেলে দিলে পেনাল্টি দেন রেফারি। অ্যাস্টন ভিলার সাবেক খেলোয়াড় ইয়ং ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ে গিয়ে রেফারিকে বোকা বানিয়েছেন কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। ফার্গুসন অবশ্য দাবি করছেন, ইয়ং প্রতারক নন। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক থাকলেও দলকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি রুনি। ৪৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওয়েলবেক। ৭৩ মিনিটে রুনি করেন তাঁর দ্বিতীয় গোল। এই দুই গোলে লিগে রুনির গোলসংখ্যা হলো ২৪, সব মিলিয়ে মৌসুমে ৩১ গোল। ম্যাচের অন্তিম সময়ে ভিলার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন নানি। এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে ম্যানইউর পয়েন্ট হলো ৮২, ম্যান সিটির ৭৭।
No comments:
Post a Comment