প্রতিদিন ২৪ ডেস্ক
হুয়ানিতোর লোথার ম্যাথাউসের মাথা মাড়িয়ে দেওয়া থেকে
শুরু করে গোটা বায়ার্ন মিউনিখ দলের মাঠ ছেড়ে উঠে আসা। কী নেই বায়ার্ন মিউনিখ ও
রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাসে। ৩১ বছরের ১৮টি লড়াইয়ের পর মাঝে
পাঁচ বছরের বিরতির পর আজ আবার ময়দানে মুখোমুখি ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের অন্যতম
সফল
দুই ক্লাব। চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগটি হবে মিউনিখের
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায়।এই দুই দল মিলে জিতেছে ইউরোপিয়ান কাপ বা চ্যাম্পিয়নস লিগের ১৩টি শিরোপা। রিয়াল মাদ্রিদ নয়বার ও বায়ার্ন চারবার। ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ে এই নিয়ে পাঁচবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি দল দুটি। আগের চারবারের তিনবারই ফাইনালে ওঠা দলের নাম কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ নয়, বায়ার্ন মিউনিখ। শক্তির বিচারে হয়তো এ মুহূর্তে রিয়ালই এগিয়ে কিন্তু ইতিহাস, ঘরের মাঠে পারফরম্যান্স, স্প্যানিশ দলগুলোর বিপক্ষে বায়ার্নের রেকর্ড মিলিয়ে পিছিয়ে রাখা যাচ্ছে না বায়ার্নকে।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালটি হবে জার্মান ক্লাবটির মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায়। আগামী ১৯ মে ঘরের মাঠেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রেবল জেতার স্বপ্ন দেখছিল বায়ার্ন। কিন্তু বুন্দেসলিগা, জার্মান কাপ জয়ের স্বপ্নটা ভেঙে গেছে। লিগটা একরকম জিতেই গেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। তিন ম্যাচ হাতে রেখেই ৮ পয়েন্ট এগিয়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তাই বায়ার্নের রয়েছে কেবল ডাবল জয়ের সম্ভাবনা, আবার একেবার খালি হাতে মৌসুম শেষ করার আশঙ্কাও। ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে লিগ জয়ের সম্ভাবনা ধূসর হওয়াতেই হয়তো মেইনজের সর্বশেষ লিগ ম্যাচে বিপক্ষে রিবেরি, গোমেজ, মুলার, লামদের ছাড়াই মাঠে নেমেছিল বায়ার্ন। উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আজকের ম্যাচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ওই খেলোয়াড়দের চাঙা রাখা।
রিয়াল মাদ্রিদ সর্বশেষ ইউরোপ-সেরা হয়েছে ২০০২ সালে। বায়ার্ন তার এক বছর আগে। অপেক্ষার প্রহরটা আর বাড়াতে চাইছে না কেউই। তাই বায়ার্ন মিডফিল্ডার বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগার বলেছেন, ‘আমাদের সামর্থ্যের চূড়ায় উঠতে হবে বা সেটাকেও ছাড়িয়ে যাওয়া খেলা খেলতে হবে। তবে যেহেতু দর্শক সমর্থন আমাদের পেছনে থাকবে তাই আমরা এটা করতেও পারি।’ এই কঠিন কাজটা করতে জার্মান মানসিকতার আশ্রয় চাইছেন শোয়েইনি, ‘আশা করছি, আমরা সেই মানসিকতাটাই দেখাতে পারব যেটা বায়ার্নের ট্রেডমার্ক।’
রিয়ালের পরিচালক এমিলিও বুত্রাগুয়েনো ভয় পাচ্ছেন বায়ার্নের মানসিকতাকেই, ‘তাদের গর্ব করার মতো অনেক কিছুই আছে, আর তারা জানে মৌসুমটা মাথা উঁচু করে শেষ করার এটাই সম্ভবত শেষ সুযোগ। আর ফাইনালটা যে তাদের মাঠেই হবে সেটা না হয় নাই বললাম।’ বায়ার্নকে সমীহ করে কথা বলেছেন রিয়ালের সহকারী কোচ আইতর কারাঙ্কাও, ‘এটা অনেক কঠিন (ম্যাচ) হবে। তবে আমরা জয়ের জন্যই যাব, আর মাদ্রিদ তো সব সময়ই ফেবারিট।’
ভালো একটা ম্যাচ দেখার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। দুই দলের সর্বশেষ মুখোমুখি লড়াইয়ে কিন্তু যার যার মাঠে জিতেছিল ক্লাব দুটি। ২০০৭ সালে অ্যাওয়ে গোলই কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছিল বায়ার্নকে। এএফপি, রয়টার্স।
No comments:
Post a Comment