পাকিস্তান সফরের
সিদ্ধান্ত আর জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল’র পদত্যাগ একদিনের ব্যবধানে সম্পন্ন হল। যে কারণে ল’ পদত্যাগের সংবাদ সম্মেলনে বার বার প্রশ্ন উঠেছে ল’ কি পাকিস্তান সফরে না যাবার
জন্যেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জন্যেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আর
পাকিস্তান সফরে যাবার বিষয়ে বিসিবি সভাপতি আহম মোস্তফা কামাল কী সরকারের অনুমতি
নিয়ে ঘোষণা করেছেন?
বিসিবি কী জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করেছে? এসব প্রশ্নে জবাব আজ সোমবার মিরপুরে বিসিবি অপারেশন্স কমিটির প্রধান
এনায়েত হোসেন সিরাজকে দিতে হয়েছে। তিনি রীতিমতো তোপের মুখে পড়েন। বিসিবি পরিচালক
অনেক প্রশ্নে জবাব এড়িযে গেলেন। আর অনেক প্রশ্নের জবাব বিসিবি সভাপতির জন্য তুলে
রাখলেন।
এনায়েত
হোসেন সিরাজ মিডিয়াকে বলেন,‘ পাকিস্তান সফরটা এখন আইসিসির হাতে চলে গেছে।
আমাদের সভাপতি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মিলে আইসিসির বৈঠক শেষে একটা
সংবাদ সম্মেলনে সিরিজের তারিখ ঘোষণা করেছেন। আসলে ওই তারিখটা একটা টার্গেট হিসাবে
নেয়া হয়েছে। কিন্তু আইসিসি’র কাছে পাকিস্তানের
নিরাপত্তা পরিকল্পনা যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে সে অবস্থা থেকেই বিবেচিত হবে
আমাদের পাকিস্তান যাওয়া না যাওয়া। এখন পর্যন্ত আমরা আশা করছি আইসিসি থেকে একটি
ইতিবাচক ফলাফল পাব। আইসিসি তাদের একটি টিম পাঠাবে পাকিস্তানে। সে টিম দেখবে
পাকিস্তানে বাংলাদেশ গিয়ে সেখানে সিরিজ খেলার মতো অবস্থা আছে কি না? যতক্ষণ না
আমরা আইসিসি থেকে কোনো রিপোর্ট হাতে পাব ততক্ষণ পর্যন্ত বিসিবি কোনো সিদ্ধান্ত
নিতে পারবে না।’’
এক
প্রশ্নের জবাবে এনায়েত হোসেন সিরাজ বলেন,‘‘বিসিবি বোর্ড
সভাপতি আগে কি বলেছেন সেসব নিয়ে আলোচনা করার কিছু নেই। কারণ তখনকার পরিস্থিতি আর
এখনকার পরিস্থিতি এক নয়। পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। আইসিসি পুরো বিষয়টি দেখছে। আইসিসি
পাকিস্তানে ম্যাচ রেফারি আর আম্পায়ার পাঠাবে। তাই তাদেরও দায়িত্ব আছে। শুধু যে
আমাদের দলের দায়িত্ব নেবে আইসিসি তা তো নয়! আইসিসির সিদ্ধান্ত না জেনে কিছু বলাটা
বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।’’
এনায়েত
হোসেন সিরাজ বলেন,
‘‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও
সরকার দুইটি আলাদা বডি। বিসিবি ও স্বররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে নিরাপত্তার
বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। আর বিসিবির কর্মকর্তারা সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে
আলোচনা করেছেন। এখন সেই রিপোর্টে কি লেখা আছে আমাদের তা জানা নেই। এই রিপোর্টটি
আসলে উচ্চ পর্যায়ের একটি রিপোর্ট। এটা প্রধানমন্ত্রী, স্বররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় ও উচ্চ পর্যায়ে এই রিপোর্টটি জমা আছে। সেটা তো প্রকাশ্যে আসবে না।’’
পাকিস্তানকে
যদি নিরাপদই মনে করা হয় তাহলে কেন একটি ওডিআই ও একটি টি২০ ম্যাচ সিরিজে রাখা হল? কেন ৩টি
ওডিআই ও ২টি টেস্ট রাখা হল না? জবাবে এনায়েত হোসেন সিরাজ
বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘‘এটা আসলে বড় একটি
প্রশ্ন। বিসিবি সভাপতি দেশে আসুক। তিনিই এর জবাব ভাল দিতে পারবেন।’’
কোন
ক্রিকেটার যদি পাকিস্তান যেতে না চায় সেক্ষেত্রে বিসিবির পদক্ষেপ কি হবে? এনায়েত
হোসেন সিরাজ বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না
বিসিবি এমন কোন সিদ্ধান্ত নেবে যেখানে ক্রিকেটাররা যেতে চাইবে না। আমি মনে করি
একটা দিন পর আমরা সব বিষয়ে পরিষ্কার হয়ে যেতে পারব বিসিবি সভাপতি দেশে আসার পর।
তিনি সব প্রশ্নের পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।’’
সংবাদ
সম্মেলনে উপস্থিত এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন ‘বিসিবি সভাপতি
যেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটের সমস্যার সমাধান দিতে পারেন না সেখানে তিনি পাকিস্তান যাবার
মতো কঠিন সিদ্ধান্ত কি করে দিচ্ছেন? প্রশ্নে জবাবটা বিসিবি পরিচালকরা
এড়িয়ে যান।
No comments:
Post a Comment